ফুটবল খেলার ইতিহাস এবং তাদের নিয়মাবলী
ফুটবল খেলার ইতিহাস:-
পৃথিবীতে ফুটবল খেলা কবে, কোথায় ও কিভাবে আরম্ভ হয়েছে সে বিষয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। কিছু কিছু ঐতিহাসিকদের মতে হাজার বছরেরও আগে চীন দেশে প্রথম খেলা আরম্ভ হয়। প্রমাণ হিসেবে তারা চীন দেশের ইতিহাসের পাতা থেকে এক রাজার লোহার বল মারার চিত্রটি তুলে ধরেন। কার একদল ঐতিহাসিকের মতে ফুটবলের জন্ম ইংল্যান্ডে। আবার অন্য দলের মধ্যে রোম দেশেই ফুটবলের জন্ম। বিভিন্ন সূত্র থেকে যতদূর জানা যায়, তাতে একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে সেই খেলা ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। দ্বাদশ শতাব্দীতে এই খেলা ইংল্যান্ডে এত জনপ্রিয় ছিল যে, যে কোনো লোক উৎসব ইত্যাদিতে জমায়েত হলেই ফুটবল খেলা আরম্ভ করে দিত। তখন এটা ছিল ইংল্যান্ডের একরকম গণখেলা।
ভারতে ফুটবল খেলা প্রথম ইংরেজরাই প্রচলন করে। তবে ভারতবর্ষে ফুটবল খেলা প্রথম কবে এবং কোথায় আরম্ভ হয় তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও এটুকু বলা যাবে ভারতে ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা হয় 'মিলিটারি' এবং 'আইল্যান্ড অফ বোম্বাই' দলের মধ্যে। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদই ছিল ভারতের ফুটবল খেলার পীঠস্থান। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে এশিয়ার মধ্যে ভারতের প্রথম ফুটবল সংস্থা ইন্ডিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশন(I. F. A) গঠিত হয় এবং এই বছর থেকেই তারা I. F. A শিল্ডের নামে একটি প্রতিযোগিতামূলক খেলার প্রচলন শুরু করেন রয়াল আইরিশ রাইফেলস দলই প্রথম এই প্রতিযোগিতা জয় লাভ করে। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে মোহনবাগান ক্লাব এই শিল্ড জয় লাভ করে।
ফুটবল খেলার মাঠ ও তার পরিমাপ:-
- খেলার মাঠ সবসময় আয়তাকার হয়- দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ১৩০ গজ ন্যূনতম ১০০ গজ এবং প্রস্থে সর্বাধিক ১০০ গজ ন্যূনতম ৫০ গজ।আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা মূলক খেলার মাঠের দৈর্ঘ্য ১১০ গজ থেকে ১২০ গজ ও প্রস্থে ৭০ গজ থেকে ৮০ গজ অবশ্যই হওয়া উচিত। সবসময়ই খেলার মাঠে দৈর্ঘ্য প্রস্থ থেকে বড় হবে। দৈর্ঘ্যের দিকে রেখাগুলি কে পার্শ্ব রেখা বা টাচ লাইন এবং প্রস্থের দিকে রেখা গুলিকে প্রান্তরেখা বা গোল লাইন বলা হয়।
- মাঠের মাপ গুলোর দাগ কখনোই ৫ ইঞ্চির বেশি চওড়া হবে না এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত।কখনোই কুপিয়ে গর্ত করে থাকাটা উচিত নয়। মাঠের চার কোণে ৪টি কমপক্ষে ৫ ফুট উঁচু কর্নার পতাকা লাগাতে হবে। পতাকা দন্ডগুলির উপরটা অবশ্যই ছুঁচালো হবে না। মাঝ মাঠের বরাবর যদি পতাকা দেওয়া হয় তাহলে সেই পতাকাগুলিকে দুপাশের পার্শ্বরেখা থেকে কমপক্ষে ১ গজ দূরে রাখতে হবে।
- মাঠের দুদিকে প্রান্তরেখার ঠিক মাঝখানে ৮ ফুট উঁচু ও ৮ গজ চওড়া ( দুটো পোস্ট এর ভেতরের মাপ) গোলপোস্ট থাকে। গোলপোস্টের পোস্ট কখনো ৫ ইঞ্চির বেশি চওড়া হবে না। গোলপোস্টের সাথে জালবা নেটটাকে এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে গোলরক্ষকের কোনোরকম অসুবিধা না হয়।
- তবে কম বয়সের ছাত্রদের ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গোলপোস্টের উচ্চতা, বলের আকার ও ওজন, খেলার সময় ইত্যাদি অবশ্য কম করে নেওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারটা আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে।
সাধারণ নিয়মাবলী:-
২) খেলা হয় দুটি দলের মধ্যে। প্রত্যেক দলের সর্বোচ্চ ১১ জন খেলোয়াড় থাকে। তাদের মধ্য থেকে একজনকে অবশ্যই গোল রক্ষকের দায়িত্ব নিতে হবে। কোন দলই ৭ জনের কম খেলোয়াড় নিয়ে খেলা আরম্ভ করতে পারবে না এবং তাদের মধ্যে একজন অবশ্যই গোলরক্ষকের দায়িত্বে থাকবে। তবে যে কোন খেলোয়ার রেফারির অনুমতি নিয়ে গোলরক্ষকের সাথে স্থান বদল করে নিতে পারে। প্রতিটি দলে সর্বাধিক পাঁচ জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় থাকতে পারে এবং এই অতিরিক্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকেই যেকোনো দুজনকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে খেলায় নামতে পারে। তবে যাকে বদল করা হবে সে আর সেই খেলায় খেলতে পারবে না।
৩) কোন খেলোয়াড়ই এমন কিছু পরে মাঠে নামবে না যার নিজের এবং অপর খেলোয়াড়ের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় একই রকম জার্সি পরে খেলতে নামবে। শুধু গোলরক্ষকই অংশগ্রহণকারী দুই দলের খেলোয়াড়দের জার্সির রং থেকে ভিন্ন রং এর জার্সি অবশ্যই পড়তে হবে। ফুটবল বুট পরে খেলতে নামাটা বাধ্যতামূলক।
৪) খেলা পরিচালনার জন্য সাধারণত চারজন রেফারি থাকেন। একজন মাঠের মধ্যে থেকে খেলা কে পরিচালনা করেন, দুইজন লাইন্সম্যান এর দায়িত্বে থাকেন, চতুর্থ জন মাঠের বাইরে থেকে খেলা পরিচালনা করেন। রেফারিদের জামা কাপড় দুইদলের খেলোয়াড়দের থেকে ভিন্ন রং এর অবশ্যই হতে হবে। সাধারণত রেফারিরা সাদা কালার যুক্ত কালো জামা বা গেঞ্জি, কাল হাফ প্যান্ট, সাদাকালো পুরো মজা ও কালো বুট পরে খেলা পরিচালনা করতে নামেন।
৫) খেলা পরিচালনায় রেফারিকে সাহায্য করার জন্য দুজন লাইন্সম্যান থাকেন। তাদের কাজ হলো যখন বল মাঠের বাইরে যাবে তখন কোন দল থ্রো ইন, গোল কিক, কর্নার কিক করবে তা নির্ধারন করা বা খেলোয়াড় বদল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া। রেফারি যাতে খেলায় সর্বক্ষণ আয়নানুগভাবে খেলা পরিচালনা করতে পারেন সে বিষয়ে রেফারিকে সর্বতোভাবে সাহায্য করা। লাইন্সম্যান দের হাতে অবশ্যই একটি উজ্জ্বল লাল ও হলুদ রঙের পতাকা থাকবে। কোন লাইন্সম্যান অসঙ্গত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বা অন্যায় আচরণের মাধ্যমিক বা রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করে রেফারিকে খেলা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না এবং যদি তা করেন তাহলে রেফারি ইচ্ছা করলে লাইন্সম্যান বদল করে নিতে পারেন।
৬) দুটি দলের মধ্যে যদি আগে থেকেই কোনরকম চুক্তি করা না থাকে বা প্রতিযোগিতায় অন্য কোন রকম সময়ের কথা বলা না থাকে তাহলে খেলা ৪৫ মিনিটের দুটি সমান অর্ধে ও মাঝে ১৫ মিনিটের বিরতি ছাড়া মোট ৯০ মিনিটের হবে। একবার খেলার সময় ঠিক করে নেওয়ার পর তা একমাত্র পেনাল্টি কিক ছাড়া কখনোই বাড়ানো বা কমানো যাবেনা। তবে খেলা চলাকালীন কোন কারণে সময় নষ্ট হলে তা প্রতি অর্ধে যোগ করে দেওয়া যেতে পারে। একেবারে শেষ মুহূর্তে যদি কোন দল পেনাল্টি কিক পায় তাহলে সেটা নিয়মানুযায়ী শেষ না হওয়া পর্যন্ত খেলা শেষ করা যাবেনা। প্রয়োজনে তার জন্য খেলার সময় বাড়ানো যেতে পারে।
৭) রেফারির কাছ থেকে খেলা আরম্ভের নির্দেশ পেলে দলের যে কোন একজন খেলোয়াড় বলটাকে এমনভাবে মারবে যাতে বলের সম্পূর্ণ পরিধিটা একবার ঘুরে মাছ রেখাকে অতিক্রম করে বিপক্ষ দলের পড়তে যায় এবং তখনই খেলা আরম্ভ বলে গণ্য হবে। যে প্রথম বলটি মারবে বাকি করবে সে অন্যের স্পর্শ ছাড়া দ্বিতীয় বার সেই বল কে কার স্পর্শ করতে পারবে না। ঠিক এইভাবে খেলা আরম্ভ হবে বিরতি এবং গোল হওয়ার পর। তবে অন্য কোনো কারণে যদি সাময়িকভাবে খেলা বন্ধ হয় এবং যার জন্য নিয়মে কোন শাস্তির কথা বলার নেই সে ক্ষেত্রে ড্রপ দিয়ে আবার খেলা আরম্ভ করতে হবে।
৯) বলের সম্পূর্ণ অংশটা শূন্যেই হোক বা মাটিতে গড়ানো অবস্থাতেই হোক যখন দুই গোলপোস্টের ও ক্রসবার এর মধ্য দিয়ে গোল লাইনকে সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম করে ভেতরে চলে যায় তখনই গোল বলে গণ্য করা হয়। খেলায় যে দল বেশি গোল করে সেই দলই জয়ী হয়। কোন পক্ষই যদি গোল না করতে পারে ভাসমান সংখ্যক গোল করলে খেলাকে অমীমাংসিত ধরা হবে।
১০) যে মুহূর্তে বলটি খেলা হচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে বলের চেয়ে এগিয়ে থাকা কোন আক্রমনকারী খেলোয়াড় তখন প্রতিপক্ষের গোল লাইনের কাছাকাছি থাকবে তখনই তাকে অফসাইডে আছে বলে ধরা হবে।
১১) যখন কোন খেলোয়ার ইচ্ছাকৃতভাবে নিম্নোক্ত নটি অপরাধের মধ্যে যেকোনো একটি অপরাধ করে তখন তার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট ফ্রি কিকের আদেশ দেওয়া হয়-
- বিপক্ষকে লাথি মারা বা লাথি মারার চেষ্টা করা।
- বিপক্ষকে ব্যাঙ বা প্যাঁচ মারা বা বিপক্ষে এর সামনে অথবা পিছনে ঝুঁকে পড়ে তাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা।
- বিপক্ষের ওপর লাফিয়ে পড়া।
- বল নেওয়ার জন্য বা প্রতিরোধ করার জন্য দুই পক্ষকে মারাত্মক বা বিপজ্জনকভাবে আক্রমণ করা।
- বিপক্ষ বাধা না দেওয়া সত্তেও তাকে পেছন থেকে আক্রমণ করা।
- বিপক্ষকে আঘাত করা বা থুতু দেওয়া।
- বিপক্ষকে ধরে বা আটকে রাখা।
- বিপক্ষকে ধাক্কামারা বা ঠেলে দেওয়া।
- হাত দিয়ে বল ধরা বা খেলা (গোলরক্ষক নিজের সীমানায় হাত দিয়ে বল ধরতে পারে)।
১২) যখন কোন খেলোয়ার নিম্নোক্ত পাঁচটি অপরাধের মধ্যে যেকোনো একটি অপরাধ করে তখন তার বিরুদ্ধে ইনডাইরেক্ট ফ্রিকিক(যে কিক থেকে সোজাসুজি গোল করা যায় না) দেওয়া হয়-
- রেফারি যদি মনে করেন যে খেলোয়ার বিপজ্জনকভাবে খেলছে, যেমন গোলরক্ষকের হাতে বল থাকা অবস্থায় খেলতে যাওয়া বা বলকে কিক করার চেষ্টা করা।
- আয়ত্বের বাইরে থাকা পলিটিক্যাল খেলার চেষ্টা না করে কাঁধের এর সাহায্যে পক্ষের কাঁধে অবৈধ চার্জ করা।
- বলটিকে খেলার কোন চেষ্টা না করে ইচ্ছে করে প্রতিপক্ষকে বাধা দেওয়া।
- বল ধরে থাকা অবস্থায় বিপক্ষকে বাধা দেওয়া বা প্রতিপক্ষকে বাধা দেওয়া গোল অঞ্চলের বাইরে থাকা অবস্থায় ছাড়া গোলরক্ষককে চার্জ করা হলে।
- এছাড়া গোলরক্ষক যদি ইচ্ছা করে খেলার সময় নষ্ট করার চেষ্টা করে বা বলটা ধরে অপরকে খেলার সুযোগ না দিয়ে আছরাতে আছরাতে বা শুন্যে ছুঁড়ে আবার তা ধরে নিয়ে চার পায়ে বেশি এগিয়ে যায়, নিয়মানুসারে চার পা এগোবার পর অবশ্যই থাকে বলটিকে পেনাল্টি এরিয়ার বাইরে পাঠাতে হবে। অন্য কোন খেলোয়াড় স্পর্শ না করা পর্যন্ত সে তার হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারবে না।
১৪) পেনাল্টি কিক সবসময়ই পেনাল্টি চিহ্ন বা স্পটে রেখে মারতে হয়। বল মারার সময় যে বল মারবে সেও গোলরক্ষক ছাড়া বাকি সবাইকে মাঠের মধ্যে পেনাল্টি বক্সের বাইরে ও পেনাল্টি স্পট থেকে ১০ গজ দূরে থাকতে হবে। গোলরক্ষককে অবশ্যই দুই গোল পোস্ট এর মধ্যে নিজ গোল লাইনের উপর দাঁড়াতে হবে। বল না মারা পর্যন্ত গোলরক্ষক নড়তে পারবেনা। বলটাকে অবশ্যই সামনের দিকে মারতে হবে এবং বলের সম্পূর্ণ পরিধিটা গড়ানোর সাথে সাথেই ধরে নেওয়া হবে যে পেনাল্টি কিক নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বল মারার পর যে বল মেরেছে সে অন্যের স্পর্শ ছাড়া দ্বিতীয় বার আবার বলটি খেলতে পারবে না। পেনাল্টি কিক থেকে সরাসরি গোল হয়। রক্ষণ কারি দল যদি কোন রকমের নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে আবার পেনাল্টি কিক নিতে হবে অবশ্য যদি গোল না হয়ে থাকে। আক্রমণকারীরা নিয়ম ভঙ্গ করে গোল করলে তা বাতিল হবে।
১৫) বলটা সম্পূর্ণভাবে স্পর্শ রেখা বা টাচ লাইনের বাইরে চলে গেলিই থ্রো ইন হবে। যাদের স্পর্শে বল বাইরে যাবে তাদের বিপক্ষদল থ্রো ইন পাবে। থ্রো ইন করার সময় পা দুটোকে পার্শ্ব রেখার উপর বা বাইরের মাটিতে রেখে দুটো হাত সমান জোর দিয়ে মাথার উপর দিয়ে বলটাকে ছুটতে হবে। বল ছোঁড়ার সময় কখনোই পেছনটা মাঠের দিকে রাখা চলবে না। ঠিকমতো না করলে বিপক্ষ দল থ্রো ইন পাবে। নতুন নিয়মানুসারে যেখান থেকে বলটা পার্শ্বরেখাকে অতিক্রম করবে ঠিক সেই যায়গা থেকেই থ্রো ইন করতে হবে। তা না করলে বিপক্ষ দল থ্রো ইন পাবে। থ্রো ইন থেকে সোজাসুজি গোল করা যাবে না বা অফসাইডও হবে না।
১৬) আক্রমণকারীর স্পর্শে যখন বল সম্পূর্ণ প্রতিপক্ষের প্রান্তরেখা বা গোললাইন অতিক্রম করে বাইরে চলে যায় তখন রক্ষণকারী দল গোলকিকের মধ্যে দিয়েই পুনরায় শুরু করতে হয়। মাঠের যেদিক দিয়ে বল বাইরে গেছে সেই দিকের গোল অঞ্চলের মধ্যে বল রেখে বলটা কিক করবে। গোলকিকে বলটাকে মেরে অবশ্যই পেনাল্টি অঞ্চলের বাইরে পাঠাতে হবে। গোলরক্ষক গোলকিক থেকে বল নিতে পারবে না বা যে বল মেরেছে সে অন্যের স্পর্শ ছাড়া দ্বিতীয় বার বলটা খেলতে পারবে না। যদি নিয়মটা পেনাল্টি অঞ্চলের মধ্যে ভঙ্গ হয় তাহলে আবার গোলকিক করতে হবে আর বাইরে ভাঙ্গা হলে বিপক্ষদল ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিক পাবে।
১৭) রক্ষণ কারী দলের স্পর্শে যখন সম্পূর্ণ সেই দিকের গোল লাইনকে অতিক্রম করে বাইরে চলে যায় তখন বিপক্ষ দল কর্নার কিক পায়। যেদিক দিয়ে বল বাইরে যায় সেই দিকের কোণে গজের মধ্যে বল রেখে বিপক্ষ দলকে কর্নার কিক করতে হয়। কর্নার কিক থেকে সোজাসুজি গোল করা যায়।